রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির
বার্তাকক্ষ : পাবনার নতুন পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির আটঘরিয়ায় চাঞ্চল্যকর সালমা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পুন:তদন্তের জন্য গোয়েন্দা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন ।
গতকাল সোমবার (০৭ নভেম্বর) পুলিশ লাইন অডিটরিয়ামে পাবনায় কর্মরত ইলেকট্রোনিক্স প্রিন্ট ও স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সালমা হত্যার বিষয়টি উত্থাপিত হলে পুলিশ সুপার এ আদেশ দেন।
পাবনা পুলিশ সুপার আরও বলেন অবশ্যই সালমা হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখিন করা হবে। সেই সাথে এই মামলায় পুলিশের যদি কোন গাফিলতি থাকে তবে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, আটঘরিয়া উপজেলার কলেজপাড়ায় সালমা হত্যার প্রায় দেড়মাস পার হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করছে না। অন্যদিকে সালমা হত্যার আসামীরা মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি দেয়া অব্যাহত রেখেছে বলে পরিবারের লোকজন দাবি করে গত ৬ নভেম্বর পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে করে।
প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে নিহত সালমার স্বজনেরা অভিযোগ করেন যে, পুলিশ আসামীদের সাথে হাত মিলিয়ে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে।
নিহত সালমার মামা আব্দুল আজিজ বলেন, গতকাল (শনিবার ৫ নভেম্বর) পাবনা গোয়েন্দা পুলিশ আমাদেরকে গোয়েন্দা শাখায় তলব করে আমাদের জবানবন্দী রেকর্ড করে।
পরে ওসি সাহেব বলেন, এই মামলাটি সদ্যবিদায়ী পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরের তত্ত্বাবধানে ছিল। আমরা এই মামলা সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র ও লাশের ময়না তদন্তের রিপোট হাতে পাইনি। কাগজপত্র হাতে পাওয়া মাত্র আমার মামলা তদন্ত শুরু করবো।
এ ব্যাপারে পাবনা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বলেন এসপি সাহেবের নির্দেশ পাওয়া মাত্র আমরা পুন:তদন্তের কাজ শুরু করেছি। অতি শিঘ্রই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে
জানা গেছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর আটঘরিয়া থানায় নিহত সালমার ভাই সেলিম হোসেন বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক গোলাম মওলা পান্নুকে প্রধান আসামীসহ ৯ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে।
কিন্তু মামলা দায়েরের প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
আসামীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছে বলে অভিযোগ ওঠে।
সংবাদ সম্মেলনে সালমার মামা মোঃ আব্দুল আজিজ আরও জানান, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অনৈতিক কর্মকান্ডের যেদিন প্রতিবাদ করা হয় সেদিনই সন্ধ্যায় তারা সালমাকে উপর্যুপরি ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আটঘরিয়া কলেজ পাড়ার একটি কলা গাছের বাগান থেকে সালমা খাতুন (২২) নামের এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে আটঘরিয়া থানা পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট পূর্বের সংবাদ : (১) আটঘরিয়ায় নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার (২) আটঘরিয়ায় সালমা হত্যা, নিস্ক্রিয় ভূমিকায় পুলিশ ! (৩) আটঘরিয়ায় সালমা হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন