রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন
গত মঙ্গলবার থেকে এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্তরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় আছে,যা এই স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক-চতুর্থাংশ। অথচ ২০১০ সালের পর থেকে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত হয়নি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী ২০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে পাঠদানের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বেতন-ভাতা না পেয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অন্যদিকে দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে ২১ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর বেতন বেড়েছে। এ অবস্থায় নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশনসহ কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন। তাদের এই অবস্থান কতখানি যৌক্তিক তা নিয়ে কথা বলেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হকশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি এমপিওভুক্ত হওয়ার নীতিমালার শর্ত পূরণ করে তাহলে শিক্ষকদের এই দাবি অবশ্যই যৌক্তিক। আমার মনে হয়, সরকারের দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তন করা উচিত। শিক্ষকসমাজকে পিছনে রেখে রাষ্ট্র কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীতের আন্দোলনের এই ইস্যুকে সরকারের অবশ্যই দ্রুত হাতে নেওয়া উচিত। অবহেলা করা ঠিক হবে না। তাদের দাবি নিয়ে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা করে একটা সমাধানে যাওয়া দরকার। যাচাই বাছাইয়ের পর সরকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই এমপিওর আওতায় নিয়ে আসতে পারে। তাহলে গোটা শিক্ষাব্যবস্থা এমপিওভুক্ত হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার যাবতীয় খরচের একটা অংশ সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে একটি কমিটি করা যেতে পারে। এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অপটু শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে কিনা, তাদের অবকাঠামোগত সুবিধা আছে কিনা, এছাড়া নীতিমালার শর্ত পূরণ করছে কিনা- এসব বিষয়ও খতিয়ে দেখা দরকার।