রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
বার্তা সংস্থা পিপ, পাবনা : নিজাম উদ্দিন মাস্টারের জমি জবরদখল করে সদলবলে ঘর তুলতে আসেন তার এক প্রভাবশালী নিকটাত্মীয়।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গাঙ্গহাটি গ্রামের ওই শিক্ষক নিরুপায় হয়ে পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম পিপিএম এর নিকট মোবাইলে একটি মেসেজ দেন।
পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিক আতাইকুলা থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পুলিশ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে জবরদখলের কাজ বন্ধ করে দেন।
এ ঘটনা গত শুক্রবার এর। কিন্ত আজ রোববার (০৭ অক্টোবর) সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন।
তিনি জানান, বছর দেড়েক আগে থেকে তার চাচা মো: আলী মিয়া প্রধানের সাথে বাড়ির ১২ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
তার চাচা মো: আলী মিয়া প্রধান সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে এসি ল্যান্ড বরাবর নাম খারিজের জন্য আবেদন (৮৩৯/১৫-১৬ )করে অবমুক্ত করেন।
এরপর তিনি আবেদন (১৯২১/১৭-১৮) করে ওই জমি খারিজ করে নেন।
এক্ষেত্রে তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিবাদী করেন মৃত নজরুল ইসলাম ( আলী মিয়া প্রধানের এক ভাই) কে।
এদিকে শিক্ষক নিজাম উদ্দিন সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে তার চাচা মো: আলী মিয়া প্রধানকে বিবাদী করে দুটি আবেদন (৭৬৪/ ১৭-১৮ এবং ১৬৩১/১৭-১৮) করেন।
কিন্তু আর- আতাইকুলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস সঠিক তদন্ত রিপোর্ট না দেয়ায় দুটি আবেদনই খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে গত ৮-৫-২০১৮ তারিখে উপজেলা ভূমি অফিসে শিক্ষক নিজাম উদ্দিন পূণ: আবেদন জানালে নামজারি আংশিক কর্তন সাপেক্ষে বাতিল হয়।
এতে ক্ষুদ্ধ হন আলী মিয়া প্রধান। তিনি জোর করে নিজাম উদ্দিনের জায়গার উপর ঘর তোলেন।
এতে নিজাম উদ্দিন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আদালতে ১৪৪ ধারার আবেদন করেন।
এক্ষেত্রে সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার(ভূমি) অফিস ত্রুটিপূর্ণ তদন্ত রিপোর্ট দেয়। এ রিপোর্টে বাদি নিজাম উদ্দিন নারাজি দেন।
এতে এডিএম কোর্ট তার নারাজি মঞ্জুর করেন। এরপর এডিএম কোর্ট আবার সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে তদন্তের দায়িত্ব দিলে নিজাম উদ্দিন আবারো নারাজির আবেদন জানান।
আবেদনটি এডিএম নামঞ্জুর করেন।
এরপর মো: আলী মিয়া প্রধান ২৮ সেপ্টেম্বর আবারো শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের জায়গায় ঘর তুলতে যান।
এ অবস্থায় ওই শিক্ষক নিজাম উদ্দিন নিরুপায় হয়ে পাবনা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বরাবর তার জমি বেদখলের হাত থেকে রক্ষায় একটি মেসেজ পাঠান।
পুলিশ সুপার জরুরিভাবে আতাইকুলার থানার ওসিকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলে পুলিশ জবরদখলের কাজ বন্ধ করে দেয়।
পুলিশ সুপারের প্রতি শিক্ষক নিজাম উদ্দিন কৃতজ্ঞ বলে জানান।
শিক্ষক নিজাম উদ্দিন জানান, তার প্রতিপক্ষ চাচা জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে লুট করার মামলা দিয়েছেন।
তিনি একটি নিরপেক্ষ তদন্ত চান। এতে তিনি ন্যায় বিচার পাবেন এবং তার বৈধ সম্পত্তি বেদখলের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে তিনি জানান।