রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
অক্লান্ত, অদম্য অপরাজিতারা। সাফল্যের স্বর্ণশিখরে তাদের আরোহণের অভিযান যুগপৎ রোমাঞ্চকর ও কঠোর পরিশ্রমের ফল। মুঠো মুঠো সাফল্য বাংলাদেশকে এনে দিচ্ছে ফুটবলকন্যারা। গত পরশু ভুটানের থিম্পুতে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়শিপের শিরোপা জয় সাফল্যের মুকুটে তাদের সর্বশেষ পালক। লাল-সবুজ ফুটবলকন্যাদের ঈর্ষণীয় সাফল্য নিয়ে কথা বললেন জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের তিন সাবেক খেলোয়াড় –
হাসানুজ্জামান খান বাবলু, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার
মেয়েদের বয়সভিত্তিক দল সত্যিই ভালো খেলছে। একটার পর একটা টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে। অভিনন্দন তাদের। মারিয়া মান্ডা, সিরাত জাহান স্বপ্না, তহুরা খাতুন, আঁখি খাতুন টানা ক’বছর ধরে অসাধারণ খেলছে। দীর্ঘদিন আমাদের জাতীয় মহিলা দলের খেলা নেই। মাঝে গত মে মাসে থাইল্যান্ডের একটি ফুটসাল টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়েছিল জাতীয় দল। সেখানে তিন ম্যাচে ২০ গোল হজম করেছে সাবিনা খাতুনরা। এ দিকে নজর দেয়া উচিত বাফুফের মহিলা উইংয়ের। দেশে মেয়েদের ফুটবল লিগ হয় না। জাতীয় দলের খেলা নিয়মিত হওয়া উচিত। বিদেশি দলগুলোর সঙ্গেও খেলা উচিত। তাহলেই বিশ্ব মহিলা ফুটবলে আমাদের অবস্থান বোঝা যাবে।
কায়সার হামিদ, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার
আমাদের মেয়েরা অসাধারণ খেলছে। বিশেষ করে জুনিয়র দল। সারা বছর অনুশীলনে থাকে ওরা। তাই ভালো ফল করছে। একটা দলকে ভালো করতে হলে যা প্রয়োজন তার সবই রয়েছে কিশোরী ফুটবলারদের। তাই একটার পর একটা টুর্নামেন্টে তারা চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে। অন্যদিকে বিপরীত মেরুতে পুরুষ দল। বছরব্যাপী অনুশীলন হয় না। পাইপলাইনও দুর্বল। ফলে হতাশার মধ্য দিয়ে বছর শেষ করতে হয় তাদের।
ইলিয়াস হোসেন, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার
মেয়েদের ভালো করার কারণ একটাই, দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন ক্যাম্পে থাকে তারা। কোচ ছোটনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কথাও বলতে হয়। টেকনিক্যাল ও স্ট্র্যাটেজিক কোচ পল স্মলি আসার পর পরিবর্তন এসেছে। অনেকে বলে থাকেন, একই মেয়েরা বিভিন্ন বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে খেলে থাকে। বয়স থাকলে তো খেলবেই। ক্যাম্পে ৩৫-৪০ জন মেয়ে ফুটবলার রয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তাদের নেয়া হয়। ছেলেরা তা পারছে না। তাদের ক্লাবগুলোকে আন্তরিক হতে হবে। কারণ খেলোয়াড়দের আনে ক্লাব। জাতীয় দলের ফুটবলারদের বয়স হয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পর ব্রিটিশ কোচ জেমি কাজশূন্য হয়ে পড়বেন। তখন নীলফামারী থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে অনূর্ধ্ব-১৬ দলের ক্যাম্প। তারপর হবে দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্প। এভাবেই পাইপলাইন ধরে রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে।