রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন
বইপড়াকে আমরা সবসময় একটু অন্যভাবে দেখি। একবার ভাবুন তো-সাদা পৃষ্ঠায় কালো কালিতে দেয়া আঁচড়গুলোর ওপর দিয়ে চোখ বুলিয়ে যাওয়ার সময় আমরা কীভাবে অন্য এক জগতে হারিয়ে যাই। চোখ বুজলেই যেন দেখতে পাই চরিত্রগুলোকে।
এখানে মূল সার্থকতা লেখকের। তাই তো আমরা নতুন প্রজন্মকে এই অসাধারণ কল্পনাশক্তির বীজ তুলে দিতে পারলে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হবে পুরো পৃথিবী।
১০ মাস বয়সেই শিশুর হাতে বই তুলে দিন। শিশুর সঙ্গে বইপড়ার মতো সুন্দর কাজটি যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়, শিশুর জন্য তা তত বেশি মঙ্গলজনক৷ মাত্র ১০ মাস বয়সেই শিশুর হাতে কাপড়ের তৈরি ছবির বই ধরিয়ে দিন। তারপর ধীরে ধীরে বয়স অনুযায়ী অন্যান্য রূপকথা বা পশুপাখি কিংবা শিশুর উপযোগী যে কোনো বই দিন। শিশুকে সঙ্গে নিয়ে বই কিনুন।
আসুন জেনে নিই শিশুদের বইপড়া কেন জরুরি-
মনোবল বাড়ায়
বইপড়া শিশুদের মনোবল অনেক খানি বাড়িয়ে দেয়। রাতে ঘুমানোর সময় শিশুকে বিছানায় নিয়ে বই পড়ে শোনান। শিশুরা বই পড়লে বা কেউ পড়ে শোনালে শিশুদের সিদ্ধান্ত নেয়ার মনোবল বাড়ে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷
১৫ মিনিটই যথেষ্ট
শিশুর বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য দিনে মাত্র ১৫ মিনিট সময়ই যথেষ্ট। তাই রাতে ঘুমানোর আগে শিশুকে ১৫ মিনিট বই পড়ে শোনান।
পড়ালেখায় মনোযোগী
শিশুকে সঙ্গে নিয়ে বই পড়ে শোনালে বইপড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে আর এতে ওরা ওদের প্রয়োজনীয় বইগুলোও সহজে পড়তে পারে। বইপড়ার অভ্যাসের কারণে শিশু পড়ায় মনোযোগী হতে শেখে।
বইপড়ার বিকল্প নেই
বই খুলে দেয় মানুষের মনের জানালা আর দৃষ্টিকে করে প্রসারিত। বই হাতে নিয়ে পড়ার আনন্দের সঙ্গে ‘ই-বুক’ এর কোনো তুলনা নেই। হাতে বই নিয়ে বইকে অনুভব করা যায়। বুক শেলফে রাখা বই দেখা যায়, দেখে বারবার পড়া যায়। তাই জ্ঞানের ভাণ্ডার ও ব্যক্তিত্বকে সমৃদ্ধ করতে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই৷
বিরক্ত হবেন না
কোনো শিশু যদি একই বইয়ের গল্প বারবার শুনতে চায় এতে বিরক্ত হবেন না। আগ্রহ নিয়ে শিশুকে বই পড়ে শোনান।