মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ইলিশের চলতি প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে পাবনার সুজানগর সংলগ্ন পদ্মা নদীতে অবাধে মা ইলিশ শিকার করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আর অবৈধভাবে শিকার করা ওই ইলিশ গ্রাম-গঞ্জে ফেরি করে বিক্রি করা হচ্ছে বলে প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান।
উপজেলার পদ্মাপাড়ের নারুহাটি গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার খলিলুর রহমান জানান, ইলিশ শিকার বন্ধে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ নদীতে অভিযান চালালেও তাতে কোন কাজ হচ্ছেনা।
প্রতিদিন শত শত মৎস্যজীবী পদ্মার নদীর চরভবানীপুর, চরসুজানগর, নিশ্চিন্তপুর, সাতবাড়ীয়া, শ্যামনগর, ভাটপাড়া, গুপিনপুর, মাছপাড়া, মালিফা, মালফিয়া, মহব্বতপুর, কামারহাট, গোয়ারিয়া, নাজিরগঞ্জ এবং হাসামপুরসহ অর্ধশত পয়েন্টে অবাধে মা ইলিশ শিকার করছেন।
উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক বলেন স্থানীয় একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বার এই ইলিশ শিকারের সাথে জড়িত।
মৎস্যজীবীরা ওই চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে থানা পুলিশের সাথে যোগসাজশে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত আবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পদ্মার নদীর ওই সকল পয়েন্ট থেকে শত শত মণ মা ইলিশ শিকার করছেন।
মৎস্যজীবীরা অবৈধভাবে শিকার করা ওই ইলিশ নদী থেকেই স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। আর মাছ ব্যবসায়ীরা খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে ওই মাছ গ্রাম-গঞ্জে ফেরি করে বিক্রি করেন বলে প্রত্যক্ষ দর্শী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের ওসমান গনি জানান।
থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত হাদিউল ইসলাম বলেন, ইলিশ শিকারে মৎস্যজীবীদের সাথে থানা পুলিশের কোন প্রকার যোগসাজশ নেই। বরং পুলিশ পদ্মা-যমুনায় ইলিশ শিকার বন্দে ক্রমাগত অভিযান পরিচালনা করছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল হালিম জানান, উপজেলা মৎস্য বিভাগ ইলিশ শিকার বন্ধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে।
তবে মৎস্যজীবীরা গভীর রাতে ইলিশ শিকার করলে সেটা বন্ধ করা খুব কঠিন।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com