শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১, ০৩:১৩ অপরাহ্ন
গত কয়েক বছরে আরও বেশ কয়েকবার আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুর খবর দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বাগদাদির যদি মৃত্যুই হয়, তাহলে দেহাবশেষ কোথায়।
রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই খবর জানান ট্রাম্প। তার দাবি, আটটি হেলিকপ্টার অভিযানে অংশ নেয়।
ইরাকে মার্কিন ঘাঁটি থেকে সিরিয়ায় রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ওপর দিয়ে সেগুলো টার্গেট অঞ্চলে পৌঁছায়। তবে ট্রাম্পের এমন দাবি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মস্কো।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকভ বলেছেন, ‘ইদলিবে মার্কিন সেনাবাহিনীর অভিযান নিয়ে আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই।’
যুক্তরাষ্ট্র আরও দাবি করেছে, বিস্ফোরণে বাগদাদির শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সঙ্গে থাকা তার তিনটি শিশুও নিহত হয়েছে। তার বেশ ক’জন সহযোগীও নিহত হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, বাগদাদিসহ এত মানুষের মৃত্যু হলে তাদের সবার লাশ কোথায় গেল। ট্রাম্প প্রশাসন এ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন বলেন, বিস্ফোরণে বাগদাদির শরীর ‘ছিন্নভিন্ন’ হয়ে যায়। ফলে মৃত্যু নিশ্চিত হতে সেনারা তার ডিএনএ পরীক্ষা করেছে। এতে তাদের ১৫ মিনিট সময় লেগেছিল।
ও ব্রায়েন বলেন, ‘পরীক্ষার ফলেই প্রমাণিত হয়, বাগদাদির মৃত্যু হয়েছে।’ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, বাগদাদির মরদেহ হয়তো সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
২০১১ সালে পাকিস্তানে অভিযান চালিয়ে সাবেক আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার দাবি করে ওবামা প্রশাসন। সে সময়ও তার লাশের হদিস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
জবাবে লাদেনের মরদেহ সাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানায় মার্কিন কর্মকর্তারা। বাগদাদির পরিণতি কি হয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে এনবিসি নিউজকে ও ব্রায়েন বলেন, ‘আমি সেটাই মনে করি।’
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com