বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: গত ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর গ্রাম থেকে রহস্যজনকভাবে দুই কলেজছাত্র নিখোঁজ হয়েছে।
উধাও হওয়া দু’জনের মধ্যে একজন হলেন ঈশ্বরদী এসএম মডেল স্কুল এন্ড কলেজের বাণিজ্য বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্র সামিউর রহমান শামিম (১৯)। সে পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ঈশ্বরদী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের উপসহকারি প্রকৌশলী রেজাউল করিমের ছেলে।
অপরজন নতুন রূপপুর গ্রামের বাসিন্দা রেলওয়ের ঈশ্বরদী লোকোসেডে ফিটার পদে কর্মরত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মতিয়ার রহমান সজিব (২৫)।
তারা দু’জন বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় ‘আসছি’ বলে বের হয়ে এখনো ফিরে আসেনি।
শামিম ও সজিবের অভিভাবকরা সম্ভাব্য সকল স্থানে এবং র্যাব ও পুলিশের কাছে খোঁজ করেও তাদের কোন সন্ধান পাননি বলে জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। শামিম ও সজিবের বাবা জানান, গত ১৪ জুলাই থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের দু’জনের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মতিয়ার রহমান ওরফে সজিব ঈশ্বরদীতে সজিব নামে পরিচিত হলেও পাবনার ভাঙ্গুড়া পাঁচখিরা গ্রামের দুর্গম অঞ্চলে ‘দরিয়া’ নামে পরিচিত।
সে ওই এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। কলেজছাত্র শামিমও তার সঙ্গে ওই এলাকায় ‘ছোটখাটো’ অপারেশনে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে পাঁচখিরা গ্রামের মানুষ।
সজিবের বাবা সিদ্দিকুর রহমান জানান, সন্ত্রাসী জহুরুল ( ঈশ্বরদীতে গত ২৯ জুলাই র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত) তাদের বাড়িতে মাঝে মধ্যে আসা-যাওয়া করতো।
শামিমের বাবা রেজাউল করিম জানান, উধাও হওয়ার দিন দুপুরে শামিমের কাছে ০১৭৬৩-৬৩৯৫১২ এই নম্বরের মোবাইল থেকে একটি কল আসে, সে সময় মোবাইলে কথা বলার পর শামিম বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই শিকদার জানান, এখনো তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ তাদের সন্ধানে তৎপর রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ঈশ্বরদী আরও দু’জনসহ জেলায় অন্তত ৬ জন নিখোঁজের তালিকা রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com