সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১, ০২:২৭ অপরাহ্ন
বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার রায়ে ৭ জনের ফাঁসির আদেশে জেলার সর্বত্র আলোচনার ঝড় উঠেছে।
এ নিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মহল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামস-উল আলম হীরু বলেন, এমপি লিটন হত্যার ঘটনায় আদালতের রায়ে আমরা খুশি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ফলে আমরা লিটন হত্যার উপযুক্ত বিচার পেয়েছি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল আলম সরকার লেবু বলেন, প্রয়াত জননেতা মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার রায়ে আদালত আসামিদের যে শাস্তির আদেশ দিয়েছেন তাতে করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন এ রায়ে খুশি। তিনি পলাতক আসামি চন্দন রায়কে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান। উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান মন্ডল বলেন, আইন সবার জন্য সমান। অন্যায়কারী যে দলের হোক না কেন, তাকে শাস্তি পেতে হবে। সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল কাদের খান অন্যায় করেছেন আদালত তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। এতে করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে দলীয় এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি। তিনি দ্রুত রায় বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। উপজেলা বাসদ (মার্কসবাদী) আহ্বায়ক বীরেন চন্দ্র শীল বলেন, এমপি লিটন হত্যার রায়ে উপজেলা বাসদ খুশি। তিনি বলেন, একজন হত্যাকারীর জন্য যা শাস্তি হওয়া উচিত আদালত তা দিয়েছেন। তবে এ রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে।
উপজেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি পবিত্র কুমার দত্ত বলেন, খুনিদের জন্য যা শাস্তি হওয়া প্রয়োজন আদালত তা দিয়েছেন। এ রায়ে আমরা দোকান মালিক সমিতি অত্যন্ত খুশি। বাজারের ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম বলেন, শুধু এমপির মামলা নয়, সব মামলার ক্ষেত্রে সঠিক ও দ্রুত রায় কার্যকর করা দরকার। তিনি এ রায়ে খুশি বলে জানান।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com