সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১, ১১:৪২ অপরাহ্ন
রাজশাহীর বেসরকারি শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন-তাহসিন, বিদিশা, রায়হান, সাব্বির, সুমন, সুস্মিতা, ফৌজিয়া, মেধা, নিশাত তাসনিম, রিফাত, মিথিলা, ফাইমা ও জেবা। তারা মেডিকেল কলেজের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মুনীর জানান, শিক্ষার্থীরা থানায় এসে এবিষয়ে অভিযোগ করেছেন। মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিতভাবে এ বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, শুক্রবার বিকেলে কলেজ হোস্টেল থেকে তাদের শীতের কাপড় নিতে যান। প্রথমে তাদের ক্যাম্পাসের হোস্টেলে যেতে বাধা দেয়া হয়। পরে ঢুকতে অনুমতি দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা হোস্টেলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপর বহিরাগত কয়েকজন যুবক অতর্কিত হামলা করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের ভাই টিটু ও মিঠুসহ অন্যান্য কর্মচারী এবং বহিরাগত ভাড়াটে লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মুনীর বলেন, করোনার জন্য এখন প্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষার্থীরা কলেজের হোস্টেলে যাচ্ছিলেন শীতের কাপড় বের করার জন্য। তখন কলেজের কর্মচারীরা তাদের ঢুকতে বাধা দেন। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
ওসি আরো বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী মামলা করতে থানায় এসেছেন। তাদের অভিযোগ শোনা হচ্ছে। মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন বলছেন, দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিত ঘটনা। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল আসছে বলেই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শাহমখদুম মেডিকেল কলেজে এ পর্যন্ত ২২৫ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণলয়ের উপসচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কলেজটি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের অন্য যেকোনো মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রণালয় এই আবেদন গ্রহণ করেছে। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল আজ (শনিবার) কলেজটি পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com