শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
গাইবান্ধার ওপর দিয়ে রবিবার বয়ে যাওয়া আধাঘণ্টার বেশি কালবৈশাখী ঝড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ডাকেরপাড়া গ্রামের ইউনুছ আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), একই উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আবদুল গাফফার (৪২), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কিশামত হলদিয়া গ্রামের সোলায়মান আলীর স্ত্রী ময়না বেগম (৪৭) ও ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি গ্রামের বিশু মিয়ার স্ত্রী শিমুলি বেগম (২৬)।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার অসংখ্য ঘর-বাড়ি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনাসহ অসংখ্য ফসলের ক্ষেত।
পুলিশ ও নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেলা ৩টার দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ সময় পলাশবাড়ীর জাহানারা বেগম বাড়ির উঠোনে কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে একটি গাছ উপড়ে পড়ে নিচে চাপা পড়ে জাহানারা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপরদিকে ঝড়ের সময় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আবদুল গাফফার একই উপজেলার মোস্তফাপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে একটি গাছ তার ওপর পড়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাদের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান।
অন্যদিকে বেলা সোয়া ৩টার দিকে সুন্দরগঞ্জের ময়না বেগম বাড়ির আঙিনায় কাজ করছিলেন। এ সময় একটি গাছ ভেঙে পড়লে গাছের নিচে চাপা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান গাছচাপায় তার মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ফুলছড়ি থানার ওসি কাওছার আলী বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার শিমুলি বেগম রবিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় গাছচাপায় মারা যান।
এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ কে এম ইদ্রিশ আলী বলেন, ঝড়ে গাইবান্ধা জেলার অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, ঝড়ে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
© All rights reserved 2021 ® newspabna.com