রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
বার্তা সংস্থা পিপ, পাবনা : দ্বিতীয় সন্তান প্রসব করার জন্য সততা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন আশা রানী দাস।
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) অস্ত্রপচারের মাধ্যমে ভূমিষ্ঠ হয় ফুটফুটে শিশু কন্যা। পরের দিন শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধার পরে মারা যান তিনি।
হৃদয়স্পর্শী এ ঘটনা ঘটেছে পাবনার চাটমোহরে। অভিযোগ উঠেছে, তাৎক্ষনিক চিকিৎসার অভাব আর অবহেলার কারণেই মারা গেছে আশা রানী দাস।
ঘটনার পর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্লিনিকটিতে পাহারা বসায় পুলিশ।
জানা গেছে, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডলি খাতুন অস্ত্রপ্রচার করেন।
চুক্তিভিত্তিক পারিশ্রমিকে তিনি কাজটি করেন। মা ও নবজাতক তখন ভালোই ছিল। শনিবার বিকাল ৪টা নাগাদ হঠাৎ অসুস্থ্যবোধ করেন আশা রানী দাস।
ক্লিনিকটিতে তখন সার্বক্ষনিক আবাসিক চিকিৎসক ছিলেন না। ক্লিনিকের মালিকও বাড়িতে ছিলেন। অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে ক্লিনিকে আসেন ক্লিনিকের মালিক ও এনেস্থেসিয়া চিকিৎসক।
অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে আঁচ করতে পেরে প্রসূতিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য আশার স্বজনদের পরামর্শ দিয়েছিলেন তারা।
অভিযোগ, এই ক্লিনিকে এমবিবিএস পাশ করা সার্বক্ষনিক আবাসিক চিকিৎসক নেই।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com