মোঃ নূরুল ইসলাম, চাটমোহর, পাবনা : পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে পৌষের হাড় কাঁপানো শীত আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত মানুষ। চলছে চলনবিল অঞ্চলে হাড় কঁপিানো শীত। শৈত্যপ্রবাহে কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠান্ডা বেড়েছে। ভোরের গাঢ় কুয়াশায় প্রকৃতিতে সূর্যের দেখা মিলছে না সহজে।
চলনবিল অঞ্চলে রোদের প্রখরতা কমতে শুরু করেছে। বেড়েছে সকাল-সন্ধ্যায় ঘন কুয়াশা, বেলা গড়িয়ে দেখা মিলছে সূর্যের। খেটে খাওয়া বিপর্যস্ত মানুষেরা কোনো মতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টায় দিন পার করছেন। পৌষের মাঝামাঝিতে জেঁকে বসেছে শীত।
শীতকে মোকাবেলা করতে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন সার্বক্ষণিক ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর সাধারণ মানুষ শীত থেকে রক্ষা পেতে লেপ তোষক তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন। এদিকে গত বছরের তুলনায় এবার লেপ তৈরির কাপড় ও তুলার দাম একটু বেশি হওয়ায় গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
চাটমোহরের হান্ডিয়াল এলাকার মোঃ সোহেল রানা জয় লেপ তৈরির অর্ডার দিতে এসে বলেন, হাড় কাঁপানো শীতে সারাদিনে গরম কাপড় পড়লেও সন্ধ্যার পর কাঁথা বা চাদর গায়ে জড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আর রাতে লেপ তোষক ছাড়া ঘুমানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগেও ঠান্ডা কম ছিলো।
চাটমোহর রেল বাজার এলাকার লেপ-তোষক তৈরির কারিগর আশরাফুল ও আব্দুল ওয়াহাব জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কাপড় ও তুলার দাম বেশি। এ কারণে লেপ-তোষক তৈরিতে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
সমাজ বাজারের সরকার বস্ত্রালয় স্বতাধিকার জাহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে প্রকার ভেদে লেপ-তোষক তৈরির কাপড় প্রতি গজে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। এছাড়া শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল ৫০ থেকে ৮০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ৩০ থেকে ৫০ টাকা, সাদা তুলা ৮০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা করে দাম চলছে। আকার অনুযায়ী লেপ তোষক তৈরিতে ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে একটি ভালো মানের লেপ তৈরি করতে খরচ হচ্ছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। এছাড়া ভালো মানের তোষক তৈরি করতে খরচ পড়ছে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা। তিনি আরও জানান, শৈত্যপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ১০টি লেপ-তোষকের অর্ডার পাচ্ছি। তাই সার্বক্ষণিক কাজেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।