এখনই রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত করছে না বিসিবি। বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্সের তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। এমনটাই জানালেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।
আজ শনিবার মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এমন কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি কোচ এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে দূরত্বের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু কেউ আমাকে কিছু বলেনি। আপনি যদি সমস্যার গভীরে যেতে পারেন, তবে সমস্যা সমাধান হবে না। আমরা জানুয়ারিতে এসব সিদ্ধান্ত নেব।
পাপন বলেন, দুই সদস্যের যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বিশ্বকাপের পারফর্ম নিয়ে সেটি পর্যাপ্ত না। আমার ধারণা আমার নিজেরও তদন্ত করা উচিত। বেশ কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়দের চিন্তা ধারা আমার চেয়ে কেউ তো বেশি বোঝে না। আমি মনে করি ওয়ান-টু-ওয়ান কথা বলা দরকার। কিছু জুনিয়র, কিছু সিনিয়র প্লেয়ারদের সঙ্গে। এবার যারা যাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড সিরিজে। বেশ কিছু টি-টোয়েন্টি প্লেয়ার কিন্তু আছে মাহমুদউল্লাহসহ। উনাদের রিপোর্ট যেদিন দেবে তার পরপরই বসতে চাই ওদের সঙ্গে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে রাসেল ডমিঙ্গো আমাদের কাছে লেখে যে ও খুব ভালো একটা প্রস্তাব পেয়েছে। ও চলে যেতে চায়। ও জানতে চাচ্ছিল আমরা তাকে এক্সটেন্ড করব কী করব না, যদি এক্সটেন্ড না করি তাহলে ঝুঁকির মধ্যে ও থাকবে না। যেহেতু কভিড পরিস্থিতি তাহলে ও ওই জায়গায় কথা দিয়ে দেবে। তখন আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলাম। পরে দেখলাম এই সময়ের মধ্যে কোনো কোচ পাব না। দ্বিতীয় হচ্ছে যদি পাইও ঠিক বিশ্বকাপের আগে আগে নতুন কোচ আনব কি না সেটা নিয়েও দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিলাম। বেশিরভাগ কোচ যাদের দেখছিলাম তারা আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত বুকড।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথম রাউন্ড পেরিয়ে সুপার টুয়েলভে খেলেছিল ঠিকই, তবে পারফরম্যান্স বিচার করলে তা ছিল যাচ্ছেতাই। সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ জেতেইনি। উল্টো প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে হেরে বসেছিল।
বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ দল বর্তমানে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে। যদিও ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টিতে হেরে এখন টেস্ট সিরিজেও ধুঁকছে। তবে বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স নিয়ে দলের ভেতর এখনও কাঁটাছেড়া চলছে। এনিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) একটি তদন্ত কমিটিও করেছে।