বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গতির ঝলক দেখিয়ে সবার নজরে আসেন কাজী অনিক। তার আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) জায়গা করে নেন এই পেসার। ২০১৭ সালে প্রথমবার রাজশাহী কিংসের হয়ে খেলেছেন, এরপর ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলার সুযোগ পেলেও চোটের কারণে খেলতে পারেননি এই পেসার।
২০১৮ সালের নভেম্বরে কক্সবাজারে জাতীয় লিগ খেলার সময় ডোপ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে বলা হয়। ৬ নভেম্বর পরীক্ষা শেষে ২০ ডিসেম্বর বিসিবি জানায়, কাজী অনিকের শরীরে নিষিদ্ধ ড্রাগসের উপস্থিতি পাওয়ার কথা। বিসিবির দেয়া তথ্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন অনিকও। সেই ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর রবিবার ( ২৬ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, অনিকের দুই (২) বছর নিষিদ্ধের কথা।
বিসিবি জানায়, গত ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর কাজী অনিকের ডোপ টেস্ট করানো হয়। ওই পরীক্ষায় তার শরীরে মেথামফেটামিন নামক ড্রাগসের অস্তিত্ব মেলে। যা ২০১৮ সালে আইসিসি নিষিদ্ধ ঔষধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। অনিক তার দোষ স্বীকার করে নেয়।
বিসিবি’র ডোপ বিরোধী নিয়মের 10 10.1, 10 10.2, 10 10.3 ধারা বিবেচনায় নিয়ে বলা হয়েছে, এটি এই ক্রিকেটারের প্রথম ডোপ নিয়ম ভাঙ্গার ঘটনা। ২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তাকে দুই বছরের জন্য ক্রিকেটে অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে তিনি আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন।
পরীক্ষা শেষে অনিক নিয়মিত খেলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সবশেষ ২০১৯ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডানের হয়ে খেলেছেন।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com