চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ দল। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠেও ইতিহাস গড়ার হাতছানি টাইগারদের সামনে।
ডারবান টেস্টে জিততে হলে মুমিনুল হক সৌরভদের দ্বিতীয় ইনিংসে করতে হবে ২৭৪ রান। কাঙ্খিত জয় পেতে হলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
ডরবানে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৩৬৭ রান করে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে তরুণ ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ের (১৩৭) দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৯৮ রান করে বাংলাদেশ।
৬৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে সারেল এরউইকে নিয়ে ৪৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার। ৫১ বল খেলে মাত্র ৮ রান করে এবাদত হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হন সারেল।
৩৪ রানে মিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েও নাজমুল হোসেন শান্তর কল্যাণে প্রথমবার লাইফ পান ডিন এলগার। এরপর আবারও স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান প্রোটিয়া এই অধিনায়ক। এবার তার ক্যাচ মিস করেন ইয়াসির আলী।
দুইবার লাইফ পেয়ে দলীয় ১১৬ রানে এলগার যখন তাসকিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তখন তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৬৪ রান। প্রথম ইনিংসে তিনি করে ছিলেন ৬৭ রান।
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে একের পর এক আঘাত হানেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার শিকার হয়ে তৃতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ফেরেন কিগান পিটারসেন, কাইল ভেরেইনা ও ওয়ান মুল্ডার। মাঝে চতুর্থ ব্যাটার টিম্বা বাভুমাকে ফেরান এবাদত হোসেন। আর সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে কেশব মহারাজকে ফেরান তাসকিন।
ডারবান টেস্টে প্রথমে ব্যাট করে
পরপর দুই রান আউটে চাপে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। ৬৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০৪ রানে ৯ উইকেট হারাল প্রোটিয়ারা।
নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত ফিল্ডিং। বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ডিপ কাভার থেকে সরাসরি থ্রোয়ে সাইমন হার্মারকে রান আউট করেন সোহান। ২৫ বলে এক চারে ১১ রান করে ফেরেন হার্মার।
এরপর দুটি রান আউট করাতে সক্ষম হন টাইগাররা। বদলি ফিল্ডার হিসেবে নেমে সিমন হারমারকে সরাসরি আউট করেন নুরুল হাসান সোহান।
সাদমানের কাছ থেকে বল পেয়ে লিজাড উইলিয়ামসের উইকেট ভেঙে দেন কিপার লিটন দাস। শেষ ব্যাটার হিসেবে ডুয়াইন ওলিভারকে এলবিডব্লিউ করান এবাদত হোসেন। তার বিদায়ে ২০৪ রানেই অলআউট হয় স্বাগতিকরা।