মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি : পদ্মা নদী বেষ্টিত পাবনা জেলার চরাঞ্চলের বুকে যেন সবুজের সমারোহ। এসময় বর্ষা মৌসুমের রুদ্ররূপ ভুলে যায় চরের বাসিন্দারা। ব্যস্ত হয়ে পড়ে চরের বুকে ফসল ফলানোয়।
বর্তমানে মাঠে মাঠে নানা ধরনের শীতকালীন ফসলের চাষ হচ্ছে। ক্ষেতে সার দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার করা, পানি দেওয়া, ফসলের যত্ন নেওয়াসহ নানা কাজে ব্যস্ত এখন চরের কৃষকেরা।
সরেজমিনে পাবনার পদ্মার চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।
চরে বসবাসরতদের কাছ থেকে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম এলেই বন্যার পানিতে প্লাবিত হয় পুরো চর এলাকা। পদ্মা নদীর ভাঙনও বেড়ে যায় তখন।
বর্ষা শেষে চরের জমিতে শুরু হয় চাষাবাদ। বিশেষ করে শীতকালীন ফসল ফলানো নিয়েই ব্যস্ততায় সময় কাটে এই এলাকার মানুষের। বর্ষায় পলি পড়ায় ফসল বেশ ভালো হয় এখানে।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কোনো জমিতে সরিষার আবাদ, কোথাও মশুরি, কলাই, ধনিয়া, মুগ, কালোজিরা, রসুন, খিরা, লালশাক, পেঁয়াজের চাষ করা হচ্ছে। এছাড়ও নদীর পাড় ঘেঁষা জমিতে করা হচ্ছে বোরো ধানের চাষ। তৈরি করা হয়েছে ধানের বীজতলা।
স্থানীয় কৃষক সেকেন্দার আলী জানান, ‘বর্ষার সময় বন্যার পানিতে এখানকার বেশির ভাগ জায়গাই তলিয়ে যায়। ফলে জমিতে পলিমাটি পড়ে প্রতি বছরই। এ কারণে ফসল ভালো হয়। পরিচর্যা করলে নানা ধরনের ফসল ফলানো সম্ভব। তাছাড়া চরের বেশির ভাগ মানুষই কৃষিকাজ করে থাকে। বেশির ভাগ বাড়িতেই ঘরোয়াভাবে লাউ, মুলা, মিষ্টি কুমড়া, পালংশাক, শিম চাষ করে থাকে।
স্থানীয় যুবক পারভেজ বলেন, ‘চরে শীতকালেই বেশি ব্যস্ত থাকে কৃষক। বেশির ভাগ মানুষের কাজই থাকে ফসলের মাঠে। এ মৌসুম থেকে শুরু হয় চাষবাদ। বর্ষা পর্যন্ত চলে। এখানকার জমিতে এখন চাষ করা হচ্ছে ধনিয়া, রসুন, পেঁয়াজ, কালোজিরাসহ বিভিন্ন ফসল। আগামী চার/পাঁচ মাসের মধ্যে এসব ফসল উঠানোর পর চাষ করা হবে পাট ও ইরি ধান।
নদীর পাড়ের জমিতে এখন রোপণ করা হচ্ছে বোরো ধান। শীতের এই সময়টায় ছোট থেকে বড় সবাই ফসলের মাঠে ব্যস্ত সময় পার করে থাকে।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com