সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
পাবনা প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার পাবনার হিমায়েতপুরে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুক’ল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম ও পাকুটিয়া পরিচালিত সৎসঙ্গ আশ্রম পরিদর্শন করে গেলেন ভারতীয় ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন, রমাকান্ত গুপ্তা প্রথম সচিব (কনসিলর) ও রাজেশ ইউকে ( পলিটিক্যাল)।
পাবনার হিমায়েতপুরে পরিচালিত শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুক’ল চন্দ্র আশ্রম এবং টাঙ্গাইলের পাকুটিয়া পরিচালিত সৎসঙ্গ আশ্রম এর অভ্যন্তরীন কোন্দল মেটাতেই এই প্রতিনিধি দলের আগমন বলে জানিয়েছেন হিমায়েত আশ্রমের সাধারন সম্পাদক যুগল কিশোর ঘোষ।
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুক’ল চন্দ্র‘র জন্মস্থানের জায়গার মালিকানার দাবী নিয়ে দু’পক্ষই দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসছে। এ নিয়ে টাঙ্গাইলের পাকুটিয়া পরিচালিত সৎসঙ্গ আশ্রম মামলাও দায়ের করে আদলতে।
সাধারন সম্পাদক যুগল কিশোর ঘোষ জানান, চলতি বছরে পাবনার হিমায়েতপুরের শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুক’ল চন্দ্র আশ্রমকে পাবনা মানসিক হাসপাতালের অভ্যন্তরে ঠাকুরের জন্মস্থানের ১৫ শতাংশ জমি, (৮১ ফিট বাই ৮১ ফিট) এবং ওই জায়গায় যাওয়ার জন্য ৩শ‘ ফিট লম্বা ও ১৪ ফিট চওড়া জমি বরাদ্দ দেয় সরকার এবং পাবনার হিমায়েতপুরের শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুক’ল চন্দ্র আশ্রম বরাদ্দের বিপরীতে সরকারকে লীজের অর্থ প্রদান করেন।
এ বছরেরই ১২,১৩, ১৪ মার্চ তিনদিনব্যাপী দোল উৎসব পালনকালে ১৪ মার্চ সৎসঙ্গীরা বরাদ্দকৃত জায়গা দখলে নেন।
এই দখলের বিপরীতে পাকুটিয়া গ্রুপ হাইকোর্টে আরেকটি মামলা দায়ের করে।
সাধারন সম্পাদক যুগল কিশোর ঘোষ জানান, প্রতিনিধি দলের আগমন বা তাদের কারা নিয়ে এসেছেন তা আমার জানা নেই।
টাঙ্গাইল পাকুটিয়া গ্রুপের তপন সরকার হরিও এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) বেলা আড়াইটায় পাবনা সাকির্ট হাউসে পৌছান প্রতিনিধি দল। প্রধমেই প্রতিনিধি দল পাবনা শহরের পাথরতলাস্থ পাকৃুটিয়া কর্তৃক পরিচালিত সৎসঙ্গ আশ্রম পরিদর্শন করেন।
এরপর হেমায়েতপুর পরিচালিত শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম পরিদর্শনে যান। সেখানে দু’পক্ষের নেতৃবৃন্দ‘র সাথে বৈঠকে বসেন প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হেমায়েতপুর আশ্রমের সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) যুগল কিশোর ঘোষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান এক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন কুমার চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, টাঙ্গাইল পাকুটিয়া গ্রুপের তপন সরকার হরি, সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
বিরোধ এবং আগমনের বিষয় সম্পর্কে জানাতে চাইলে প্রতিনিধি দল কিছু বলতে রাজি হননি। আলোচনার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পরেন।
এ সময় ভারতীয় কমিশন প্রতিনিধি দল ও ওসি‘র হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পরে প্রতিনিধি দল ঠাকুরের জন্মস্থানের অংশটুকু (যেটা মানসিক হাসপাতালের দখলে ছিলো) পরিদর্শন করেন। তবে ভারতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে বিরোধপূর্ণ বিষয়ে বৈঠকে বসাকে ভাল চোখে দেখছেন না সচেতন মহল।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com