বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি: ঈদুল আজহায় কোরবানি দেওয়া পশুর চামড়ার সঠিক দাম এবার পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন পাবনা মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা।
পাবনার বিভিন্ন এলাকার অলি-গলিতে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই চামড়া সংগ্রহ শুরু করেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। এরপর তা নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন আড়তদারদের কাছে ছুটেছেন ভালো দামের আশায়।
টেবুনিয়ার মৌসুমী চামড়া ব্যাবসায়ী রিপন আলী জানান, ১৫শ ১৬শ টাকায় কেনা চামড়া ১২শ ১৩শ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। কারণ চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণটা অনেক কঠিন, তাই যতদ্রুত সম্ভব বিক্রি করে দিতে হবে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে ট্যানারির এজেন্টরা।
মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, গত বারের চেয়ে এবার একটি চামড়ায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দাম কম পাওয়া যাচ্ছে। ট্যানারির এজেন্টরা সবাই এক জোট হয়ে কম দাম দিচ্ছে। দেড় হাজার টাকার চামড়া ১২০০ টাকা দিচ্ছে। এক রকমের টানা-হেঁচড়া করে চামড়া নিয়ে যাচ্ছে এজেন্টরা।
তবে আগে থেকে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সেটা মানতে পারছেন না বলে জানান আড়তদারা।
কয়েকজন আড়তদার এজেন্ট দাবি করেন, মৌসুমী ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। একটি ছোট চামড়া দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দাবি করছেন তাঁরা। এ জন্য তাদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না। যে চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা, তা কিনতে হচ্ছে ১৬ থেকে ১৭ টাকায়।
চামড়ার ব্যবসাসংশ্লিষ্ট তিনটি ব্যবসা সংগঠন ৯ সেপ্টেম্বর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে, কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানায়।
সেই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিলো, রাজধানীতে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ৫০ টাকা, রাজধানীর বাইরে ৪০ টাকা। এ ছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ২০ টাকা, বকরির চামড়া দাম প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা ও মহিষের চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com