ফয়সাল মাহমুদ পল্লব : ঈদুল ফিতরের দিন সবাই গোস্ত দিয়ে ভাত খাবে এই মন্ত্রে পাবনার বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় গড়ে উঠেছে গোস্ত সমিতি। এতে হাসি ফুটেছে স্বল্প আয়ের মানুষের মুখে।
ঈদের আগেরদিন রাতে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গোল করে বসে আছেন কয়েকজন। তাদের কেউ মাংস কাটছেন। কেউ মেশাচ্ছেন। একজন দাঁড়িপাল্লা আর গামলা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভাগ-বাটোয়ারার জন্য। আরেকজন খাতা-কলম নিয়ে বসেছেন হিস্যা বের করতে। দিনে দিনে টাকা জমিয়ে নিজেদের টাকায় কেনা গরু নিয়ে চলছে এমন কর্মযজ্ঞ।
কথা হয় দিনমজুর আব্দুস সালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, গরিব মানুষ। ঈদের সময় মাংস কেনার সামর্থ্য থাকে না। তাই সমাজের সবাই মিলে দিনে দিনে ১০-২০ টাকা করে জমিয়ে গরু কিনে গোস্ত ভাগ করে নিই। একই কথা জানালেন নাছির উদ্দিন, আরিফুর রহমানসহ অনেকেই।
বিশেষ করে পাবনার গ্রামগুলোর পাড়ায় পাড়ায় গড়ে উঠেছে এমন গোস্ত সমিতি। সব খানেই চলছে গরু জবাই করে গোস্ত তৈরির কর্মযজ্ঞ।
গোস্ত সমিতির একজন প্রধান বলেন, ধনী-গরিব মিলেমিশে আনন্দ ভাগের একটি বাস্তব উদাহরণ গোস্ত সমিতি। এখানে শ্রমিক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী সবাই মিলে টাকা জমিয়ে গরু কেনেন। এরপর ভাগাভাগি করে হাসিমুখে মাংস নিয়ে বাড়ি ফিরেন।
এজন সদস্য বললেন, অনেক কষ্টের টাকায় হয়তো ১/২ কেজি গোস্ত বাজার থেকে কিনে আনলেও কসাইরা ভালো গোস্ত দেয়না, ওরা ঠকায়। ফলে সমিতির মাধ্যমে নিজেরা বাজার থেকে গরু কিনে জবাই করে গোস্ত ভাগাভাগি করে নেই তাতে যা পাই গোস্তটা সুন্দর পাই।
গোস্ত সমিতির কারনে সামাজিক বন্ধন মজবুত হচ্ছে বলেও অনেকে মনে করেন। সারা বছর ধরে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে কম দামে গোস্ত কিনতে পেরে পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গোস্ত সমিতি।