সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ মোট তিনজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাত নয়টার দিকে দমদমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উভয় পক্ষের দুজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দমদমা গ্রামের মো. মোরাদ হোসেন (৩৫) ও মোক্তার আলী (৫০) একে অপরের প্রতিবেশী।
নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। পবিত্র ঈদুল আজহার পর পর মোরাদ হোসেন তাঁর মেয়েকে বিয়ে দেন।
বিয়ের পরে মেয়েটি সম্পর্কে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে দমদমা গ্রামের কে বা কারা অপবাদ দেয়। এতে নানারকম অশান্তির সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মোরাদ হোসেন তাঁর বাড়িতে মোক্তার আলী ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে ডেকে আনেন।
এতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়।
অভিযোগ রয়েছে মোরাদ হোসেন সংঘর্ষের সময় তাঁর সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে কয়েকটি গুলি করেন।
এতে মোক্তার আলী গুলিবিদ্ধ হন।
এ ছাড়া মোরাদসহ মনির হোসেন (১৮) নামের আরও একজন সংঘর্ষে আহত হন।
ঘটনার পর গুলিবিদ্ধ মোক্তার হোসেনকে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও পরে সেখান থেকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ বুধবার (১২ আগস্ট) সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর শরীর থেকে একটি গুলি বের করা হয় বলে তাঁর স্বজনেরা জানান।
এ ছাড়াও ঘটনার পর মাথায় আঘাত পেয়ে আহত মোরাদ হোসেন বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলেও পরে পুলিশের ভয়ে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।
এদিকে গুলির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছেন।
কিন্তু বুধবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোনও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ খাঁন বলেন,‘গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
এ ঘটনায় দুই পক্ষের কেউ এখনও মামলা করতে আসেনি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।’
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com