শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:১০ অপরাহ্ন
সেবক হত্যার দেড় মাস
শহর প্রতিনিধি: দেড় মাস পেড়িয়ে গেলেও পাবনার শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র আশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পান্ডে হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন কিংবা হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
আশ্রমবাসীর নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও উদ্বেগ আর আতঙ্ক কমেনি আশ্রমের বাসিন্দাদের মনে।
কমে গেছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীর সংখ্যা। অন্যদিকে আশ্রমের নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছেন তারা।
জানা যায়, ১৯২২ সালে পাবনা সদর উপজেলার হিমাইতপুরে হিন্দুদের ধর্মীয় সাধক অনুকূল চন্দ্র ১৩০ বিঘা জমির ওপর ‘ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ হিমাইতপুর ধাম’ প্রতিষ্ঠা করেন।
এই আশ্রমেরই অফিস সহকারী ও একজন সেবক গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার আরুয়া কংশু এলাকার মৃত রশিক লাল পান্ডের ছেলে নিত্যরঞ্জন পান্ডে। ৪০ বছর ধরে কাজ করে আসছিলেন এই আশ্রমে।
গত ১০ জুন (শুক্রবার) ভোরে প্রাত ভ্রমনে বের হয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন তিনি। ঘটনার পর ওই রাতেই আশ্রমের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক যুগল কিশোর ঘোষ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ ছাত্র শিবির পাবনা শহর শাখার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে। আটককৃতদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল হাসান জানান, রিমান্ডে নিয়ে আটককৃতদের কাছ থেকে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির সাংবাদিকদের জানান, এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন কিংবা হামলাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি। তবে বেশ কিছু বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত চলছে।
আশ্রম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আশ্রমবাসীর নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও উদ্বেগ আর আতঙ্ক কমেনি আশ্রমের বাসিন্দাদের মনে। আশ্রমের পক্ষে নিরাপত্তর জন্য বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com