বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রথমবারের মতো পাবনার আকাশে উড়ল ড্রোন। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগের শিক্ষার্থী শৌভিক রায় অটোনোমাস ড্রোন আবিষ্কার করেছেন।
এই ড্রোন আবিস্কারে শৌভিক রায়কে সহযোগিতা করেন একই বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান ও প্রণব প্রামাণিক। ক্লাসের প্রজেক্টের অংশবিশেষ হিসেবে তারা এটি আবিষ্কার করেন।
আইসিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমরান হোসেন’র তত্ত্বাবধানে ড্রোনটি আবিষ্কার করেন আইসিই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের একটি টিম।
পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আকাশে উড়ালো ড্রোন
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ড্রোনটি উড়ানো হয়। ড্রোন আকাশে উড়ানোর দৃশ্য উপভোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আল-নকীব চৌধুরী এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আওয়াল কবির জয়সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।এই আবিষ্কার সম্পর্কে জানতেচাইলে শৌভিক রায় বলেন, গবেষণাটি এখনো প্রথমিক পর্যায়ে আছে। ড্রোনটি ১.৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আকাশে উড়তে পারে এবং দুই কেজি ওজন বহন করতে পারে। এটি রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে পরিচালিত এবং ভিডিও দৃশ্য ধারণ করতে সক্ষম। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড্ডয়নের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথাস্থানে ফিরে আসে।
তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে যাতে ড্রোনটি অপরিচিত ব্যক্তি সনাক্তকরণ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা মনিটরিং, ত্রিমাত্রিক মানচিত্র ধারণ এবং শব্দ ধারণ করতে পারে সেজন্য ড্রোনটি নিয়ে পর্যায়ক্রমে কাজ করা হবে । পরবর্তীতে উন্নত ড্রোনটি দূষিত এলাকায় বাতাসের গ্যাসীয় উপাদান সনাক্ত করতে এবং সরকারী গোয়েন্দা সংস্থায় অপরাধী সনাক্ত করতে পারবে। এছাড়াও এটি দূর্যোগপূর্ণ এলাকা পর্যবেক্ষণ এবং প্রাথমিক ত্রাণ যেমন ঔষধ দুর্গম এলাকায় বিতরণ করতে পারবে।
এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩৮ হাজার টাকা । অটোনোমাস ড্রোনটি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
ড্রোন আবিস্কারের পর উৎফুল্ল পাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. আল-নকীব চৌধুরী বলেন, এই ধরনের উদ্ভাবন পাবিপ্রবির জন্য একটি বড় অর্জন। গবেষণা ও উদ্ভাবনী কাজে শিক্ষার্থীদের যথাসম্ভব সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন গবেষণার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্য তাগিদ দেন।
কোন শিক্ষার্থী নতুন কিছু আবিষ্কার ও উদ্ভাবন করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় তাদের গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, শিক্ষা ,গবেষণা ও অন্যান্য সামাজিক কার্যক্রমসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রগতি সাধন করছে এবং শিক্ষকরা তাদের মেধা, শ্রম, গবেষণা ও শিক্ষাদানের নতুন নতুন কৌশল প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করছেন।
পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা অতি অল্প সময়ের মধ্যে পড়াশোনা ও গবেষণায় ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করছে এবং ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সমাজকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল ইসলাম মনে করেন।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com