বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
আরিফ খানঁ, বেড়া, পাবনাঃ পাবনার বেড়ায় আবুল কালাম শেখ হত্যা মামলার আসামীরা নিঃসংকোচে ও বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই সাথে বাদির বাড়িতে পুনরায় অগ্নি সংযোগ ও বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ ওঠেছে।
অন্যদিকে তাদের হুমকিতে প্রাণ ভয়ে আতংকে রয়েছে মামলার বাদি ও তার পরিবার।
গত ১৫ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড চন্দ্রপাড়া গ্রামে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বড় ভাইয়ে লাঠির আঘাতে ছোট ভাই নিহত হয়।
ঐ রাতেই নিহত কালামের ছেলে মেহেদী হাসান বাদি হয়ে বেড়া মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদি মেহেদী হাসান জানান, যারা হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ১৫ মার্চ বেড়া মডেল থানায় মামলা করেছি। আসামীরা এখনো এলাকায় ঘুরা ফেরা করছে। প্রতিনিয়িত তাদের আত্বীয়দের দিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
আসামীরা প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী হওয়ায় প্রতিনিয়িত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
নিহত স্ত্রী আলোকা বেগম জানান, এ অবস্থায় ওই আসামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে ছেলে মেয়ে নিয়ে নির্ঘুম রাত যাপন করছি। এ ছারা আসামীরা তার ছেলেকেও খুন করবে বলে বিভিন্ন কথা বলে বেড়াচ্ছে।
তিনি সাংবাদিকদের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘ওই সন্ত্রাসীরা আমার সব শেষ কইরা দিচে, আমি এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে কিভাবে সংসার চালাব।’
প্রতিবেশী শহিদুল মোল্লা, কালাম মোল্লাসহ অনেকেইে বলেন, আসামীরা মন্দ লোক, মোতাহার এলাকার সন্ত্রাসী ডাকাতী মামলার আসামী। সে বিভিন্ন রাস্তায় ছিনতাই, ডাকাতি করে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ বিচার করার দাবী করেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার সময় বেড়া উপজেলার চাকলা গ্রামে বাড়ির গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই ভাই ও ভাতিজাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এসময় কালাম শেখের আপন ভাই কদ্দুস ও তার দুই ছেলে সেলিম ও মোতাহার তাকে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করলে কালাম শেখ মাটিয়ে লুটিয়ে পরে।
এলাকাবাসি তাকে বেড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত কালামের স্ত্রী অলোকা বেগম, ছেলে মেহেদী হাসান, আরেক ভাই সালামের স্ত্রী রেনা বেগমসহ ৫ জন আহত হয়।
পরে নিহতের ছেলে মেহেদী হাসান বাদি হয়ে গত ১৫ মার্চ ৫জনকে আসামী করে মামালা করেন।
পরে বেড়া থানা পুলিশ রিফাত (১৯), মাজেদা (৫০) নামের দুইজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
এর পর থেকে মুল হোতা আসামী মোতাহার ও তার লোকজন মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে। না হলে তাদেরও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাদি মেহেদী হাসান ও তার মা আলোকা বেগম।
এছারা গত ৩১ মার্চ রাতে বাড়ির পাশে থাকা খড়ের পালায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তাদের হুমকি থেকে রেহাই পেতে শিগগিরি আসামীদের আটক করতে পুলিশের সুদৃষ্টি ও সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মামলার বাদি।
এ মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা বেড়া থানার এসআই রফিক জানান, মামলার দুইজন আসামিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকি অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
© All rights reserved 2021 ® newspabna.com