শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা) : গ্রীষ্মের শুরুতেই বেড়া উপজেলায় ব্যাপক লোডশেডিং শুরু হয়েছে । বেশির ভাগ সময়েই বিদ্যুৎ থাকছে না । বিদ্যুতের এই ভেলকি বাজিতে চৈত্রের এই ভাবসা গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পরেছে ।
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে উপজেলার চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী, ব্যবসায়ী,ও কলকারখানার মালিক সহ সাধারন মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এতে করে গ্রাহকরা বিক্ষুদ্ব হয়ে উঠছে ।
যে কোন সময় বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন সহ বড় ধরনের ঘটনার আশংকা বিরাজ করছে । বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) নির্ভরযোগ্য এক সুত্রে জানা যায়, বর্তমান দেশে কাগজ কলমেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থাপিত ক্ষমতা বেড়ে প্রায় দশ হাজার মেঘাওয়াট হয়েছে।
কিন্তু গড়ে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মেঘাওয়াটে বেশি উৎপাদন হচ্ছে না। বিদ্যুৎ উপাদনের এই করুন পরিস্থিতিতে লোড শেডিং এর যন্ত্রনা কমেনি, বরং বহুগুন বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে উপজেলারগুলোর অবস্থা আরও করুন।
কাঁশিনাথপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অফিস সুত্রে জানা গেছে, এই কেন্দ্রের অধিনে শতাধিক বেকারী, ২টি জুট মিল, ৩টি অটো রাইচমিল, ৪টি ময়দার মিল, অর্ধশতাধিক রাইচ মিল এবং প্রায় লক্ষাধিক বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে। এই কেন্দ্রের অধিনে মাত্র ২৮ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা থাকলোও তা পুরন করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ।
ফলে ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে পরে চলতি বছরের এইচ এসসি পরীক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকায় পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরো বেশি।
এখানে দিন-রাতে মাত্র ৬ থেকে ৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে। জেনারেটর দিয়ে কলকারখানা চালিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পরেছে।
সন্ধার পর লোডশেডিং এর ফলে গরমে ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পরেছেন। এ ক্ষেত্রে বৃদ্ধ রোগিদের অবস্থা আরও আশংকাজনক। এ ব্যাপারে বেড়া জোনাল অফিসের গ্রাহক পরিষদের আঞ্চলিক পরিচালক এম এ মতিন জানান, চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় এই লোডশেডিং হচ্ছে।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com