বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
আরিফ খাঁন,বেড়া, পাবনা : নসিমন, করিমন, লেগুনা, ব্যাটারী চালিত অটোভ্যান মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ হলেও পাবনার বেড়া-সাঁথিয়ার ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে আইন অমান্য করেই মাঝে মধ্যে চলাচল করে এসকল যানবাহন।
তবে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় এসব নিষিদ্ধ যানবাহনের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। এসব নিষিদ্ধ যানবাহন পরিক্ষার্থী লেখা স্টিকার লাগিয়ে প্রকাশ্যেই মহাসড়কে চলাচল করে এই যানবাহন।
বেড়া-সাঁথিয়ায় মোট ২৪ টি কেন্দ্রে সমাপনি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এর বেশির ভাগ কেন্দ্রের পরিক্ষার্থীরা এসকল অবৈধ যানবাহনই যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দুই উপজেলার পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরিক্ষার্থীরা এসব যানবাহনই বেশি ব্যবহার করে।
তার প্রধান কারণ সহজে, অনেকে একসাথে এবং কম খরচে যাওয়া আসার কোন যানবাহনে নেই।
তাই দুর দুরান্ত থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিক্ষার্থীদের বহন করার জন্য এসব নিষিদ্ধ যানবাহনই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত রোববার থেকে শুরু হওয়া প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষার প্রথম দিনেই মহাসড়ক জুড়ে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
গাদাগাদি করে লেগুনার পেছনে ঝুলে, ছাদের উপর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা কেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে।
বেড়া উপজেলার আমিনপুর আয়েন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে কাশিনাথপুরের শান্তি নিকেতন কিন্ডার গার্টেন স্কুলের পরিক্ষার্থীরা লেগুনায় যাতায়াত করতে দেখা গেছে।
এসময় ওই স্কুলের পরিক্ষার্থী জয়া, নাইমা, সুমাইয়ার সাথে কথা বললে তারা জানায়, আমাদের সবাইকে একসাথে নিয়ে আসার জন্য সুজন স্যার আর মতিন স্যার একটা লেগুনা গাড়ি ঠিক করেছে কষ্ট হলেও আমরা সবাই একসাথে আসি খরচও কম লাগে।
এমনও চিত্র দেখা গেছে যে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এসকল যানবাহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই নিশ্চিন্তে চলাচল করছে পরিক্ষার্থীরা।
সাঁথিয়ার করমজা জাবেদ সরকার স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সাথে পুন্ডুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিক্ষা কেন্দ্রে আসা অভিভাবক আবুল হোসেন বলেন, ঝুঁকি আছে জেনেও লেগুনা এবং নসিমনে আসতে হয় তাছাড়াও পরীক্ষার সময় এসব যানবাহনের সঙ্কট হয়।
বেড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার তোফাজ্জল হোসেন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাশিনাথপুরের কয়েকটি স্কুল থেকে কিছু শিক্ষার্থীরা লেগুনায় যাতায়াত করছে।
আমরা মিটিংয়ে সকল প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবকদের সর্তক করে বলে দিছি আপনাদের সন্তানদের নিজ দায়িত্বে কেন্দ্রে পৌছিয়ে দেয়ার জন্য। তবে অনেক পরিক্ষার্থীর সাথে তাদের অভিভাবকরা যায় না। একারণেই শিক্ষকরা অনেক সময় তাদেরকে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে আমিনুল ইসলাম (মাধপুর হাইওয়ে) পুলিশ সার্জন জানান, অবৈধ এসকল যানবাহনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে পরিক্ষার্থীদের বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখবো আর লোকাল রাস্তায় চললে সেটা ভিন্ন কথা।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com