মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
মৃতরা হলেন- রিফাত (১৮), মোস্তফা কামাল (৩৪), জুবায়ের (১৮), সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপরী (৭২), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪৩), মোয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), জামাল (৪০), জুবায়ের (৭) ও রাসেল (৩৪)।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যুর কথা জানান।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশু ও মুয়াজ্জিনসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি যারা এখনো চিকিৎসাধীন আছেন তাদের কেউ শঙ্কামুক্ত নন। তাদের মধ্যে কারও কারও শরীর শতভাগ পুড়ে গেছে।
এ ঘটনায় প্রথমে জুবায়ের (৭) নামে এক শিশু গতকাল শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
বিস্ফোরণের ঘটনায় মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ গুরুতর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের শরীর ৮০ থেকে শতভাগ দগ্ধ হয়েছে বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে।
ডা. সামন্ত লাল বলেন, আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন দিয়ে দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই মসজিদের এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৪০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মসজিদের ছয়টি এসি একযোগে বিস্ফোরিত হয় বলে জানা গেছে। মসজিদের নিচ দিয়ে যাওয়া গ্যাস লাইনের লিক থেকে এ বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com