শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তাদেরই বেশি হচ্ছে যারা বাইরে যাচ্ছেন। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রথম দিকে মানুষ বাইরে কম বের হত। তখন আমরা দেখেছি যারা বাইরে যাচ্ছেন, কাজে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি। এখন সবাই বাইরে বের হচ্ছে। বিশেষ করে ইয়াংরা এখন অনেক বেশি বের হয়। এ কারণে তাদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি দেখা যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সেব্রিনা ফ্লোরা ২৯ জেলাকে সংক্রমণের হার বিবেচনায় ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী ও চাঁদপুর রয়েছে এই ২৯ জেলার মধ্যে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখায় ২৪ মার্চ পর্যন্ত আসা তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব জেলাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করার জন্য আমাদের একটা কমিটি করা আছে। সেই কমিটিকে আমরা জানিয়ে দিই কোন কোন জেলায় সংক্রমণের হার তুলনামূলক বেশি। ২৪ তারিখ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে আমরা ২৯ জেলায় আমরা সংক্রমণের হার বেশি দেখতে পেয়েছি।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। চলতি বছর মার্চের শুরু থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগী, মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। গত এক দিনে ৫ হাজার ১৮১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা মহামারী শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ।
তাতে দেশে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে; মৃত্যু হয়েছে মোট ৮ হাজার ৯৪৯ জনের।
এ পরিস্থিতিতে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সকল ক্ষেত্রে সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
যেসব এলাকা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে, সেসব জায়গায় আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করা, প্রয়োজনে বন্ধ রাখার কথা বলা হযেছে নতুন নির্দেশনায়। বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্রে জনসমাগম সীমিত করার পাশাপাশি মেলা বা সামাজিক অনুষ্ঠানে নিরুৎসাহিত করতে বলা হয়েছে।
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এতদিন বন্ধই ছিল, তার সঙ্গে মাদ্রাসাও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। গণপরিবহন এবং হোটেল-রেস্তোরাঁয় মানুষের সংখ্যা আসন সংখ্যার অর্ধেকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। আর বিদেশ থেকে আসা সবার ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
© All rights reserved 2021 ® newspabna.com