সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১, ১০:২৩ অপরাহ্ন
পাবনা জেলা প্রতিনিধি : রাজাকারপুত্রের হাতে নৌকা প্রতীক দিয়ে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি।
পেশিশক্তি প্রয়োগ, তৃণমূলের ভোটে প্রভাবিত ও আর্থিক অনৈতিক লেনদেন করে রাজাকারপুত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর মঞ্জুর এলাহীকে জেতানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পাবনার কাশিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে এক সাংবাদিক সন্মেলেন এ অভিযোগ উপস্থাপন করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত ৮ এপ্রিল সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূল সদস্যদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে অনধিকার চর্চার মাধ্যমে ৭৩ জন ভোটারের মধ্যে ২০ জন ভোটারকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় সাংসদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু নিজ পছন্দের প্রার্থী রাজাকারপুত্র মীর মঞ্জুর এলাহীর জন্য অন্য ভোটারদের চাপ প্রয়োগ, হুমকি ধামকি, এমনকি ভোটগ্রহণের দিন নিজে ব্যালট বাক্সের কাছে উপস্থিত থেকে ভোটকে প্রভাবিত করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে খোরশেদ আলম বলেন, ওই এলাকার মরহুম মীর মোহাম্মদ আলীর (ঠান্টু মিয়া) যিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ঐতিহাসিক ডাববাগান যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে তথ্য ও মুক্তিকামীদের অবস্থান সম্পর্কে জানান দিতেন। তারই পুত্র মীর মঞ্জুর এলাহী যিনি স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায়ীকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। নিরপেক্ষভাবে তৃণমূলের ভোটগ্রহণ হলে এক তৃতীয়াংশ ভোট নিজে পেতেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ তৃণমূল ভোটারদের দাবি, রাজাকারপুত্রকে বাদ দিয়ে ত্যাগী আওয়ামী লীগের যেকোনো ব্যক্তিকে মনোনয়নের দেয়া হোক। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা হাজ্জাদ মিয়াসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com