বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১, ১১:৩০ অপরাহ্ন
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলামের দুই হাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নেচে-গেয়ে উল্লাস করেছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে আরো তিনজন শিশুকেও রামদা হাতে নাচানাচি করতে দেখা যায়।
রোববার (২০ মার্চ) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আজিম-উল আহসান বলেন, ‘কাউন্সিলর সাইফুল যেসব দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে নাচানাচি করেছেন, সেসব অস্ত্র পুলিশ উদ্ধার করেছে। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
কুমিল্লা নগরীর চকবাজার এলাকায় তার নিজস্ব মালিকানাধীন শরীফ এন্টারপ্রাইজের সামনে এ ঘটনার মাত্র ৫৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে নগরজুড়ে বিভিন্নমহলে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এদিকে, কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রোকন উদ্দিনকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় শুক্রবার (১৯ মার্চ) গভীর রাতে কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার হয়ে ওই কাউন্সিলর বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মিছিল নিয়ে রোকন উদ্দিন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর কাশারীপট্টি মসজিদের সামনে থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে যাচ্ছিলেন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মিছিলটি নগরীর ছাতিপট্টি এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে গাড়ি নিয়ে আসেন নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিল।
এ সময় তিনি অতর্কিতভাবে মিছিলের ওপর গাড়ি তুলে দেন। এতে রোকন উদ্দিনের দুই পা গুরুতর জখম হয়। এতে অন্তত আরো পাঁচ-ছয় জন আহত হন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই রোকন উদ্দিন বাদী হয়ে ওই কাউন্সিলরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- নগরীর মৌলভীপাড়া এলাকার কাউছার (৩৬), লিটন মিয়া (৪০), কাশারীপট্টি এলাকার মো. সাক্কু (২৮), জসিম উদ্দিন (৩৩), ডিগাম্বরীতলার মনিরুজ্জামান মনির (৫০), সদর দক্ষিণের মোহাম্মদপুর গ্রামের অহিদুর রহমান (৫৩) ও জাকির হোসেন (৪৬)। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো দু-তিনজনকে আসামি করা হয়।
এদিকে, যুবলীগ নেতাকে গাড়ি চাপা দেয়ার পর নগরীর চকবাজার এলাকায় তার মালিকানাধীন শরীফ এন্টারপ্রাইজের সামনে দেশীয় অস্ত্র হাতে উল্লাস করার ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই কাউন্সিলর দুটি রাম দা হাতে নিয়ে উল্লাস করছেন। এ সময় তার সঙ্গে আরো তিন শিশুকেও রাম দা হাতে নাচানাচি করতে দেখা যায়। এ ভিডিওটি ভাইরালের ঘটনায় নগরজুড়ে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরপরই নগরীর নানুয়ারদিঘীরপাড় এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
© All rights reserved 2021 ® newspabna.com