মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন
শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বড় পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। করোনাভাইরাসের দাপট কিছুটা কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির প্রকোপ কমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বড় পরিবর্তন আসবে। আগের মতো প্রতিদিন ক্লাসে আসতে হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসের পাঠদান পরিচালনা করতে হবে।’
বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ছুটি আরো বাড়ানো হতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে আগের মতো শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেয়া হবে না। সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস না নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ক্লাসে আসতে হবে শিক্ষার্থীদের। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী বছরের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস করানো হবে।
তিনি বলেন, আমরা আগামী বছরের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নিতে চাই। যেহেতু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত এক বছর তারা পিছিয়ে গেছে, এ জন্য ৩ মাসের একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে এ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা হবে। তবে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা হচ্ছে না। দুই-এক মাস হয়তো পেছাবে। এরমধ্যে ৩ মাসে যতটুকু পড়ানো হবে ততটুকু নিয়েই পরীক্ষা নেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে সপ্তাহে ৬ দিন তাদের ক্লাস করানো হবে বলেও জানান তিনি।
এ বছর স্কুলে ভর্তির ব্যাপারে দীপু মনি বলেন, স্কুলে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করানো হবে। জনসমাগম যেন না হয় এজন্য অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন করা হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি বাড়ানোর কোনও চিন্তাভাবনা নেই। আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা হবে। পহেলা জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে বলে জানান দীপু মনি।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, বাউবিসহ যারা জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি তাদের এসএসসি পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হবে। আগের পরীক্ষার সম বিষয়ের নম্বরকে গুরুত্ব দেয়া হবে। যেসব বিষয় মিল থাকবে না তা কীভাবে মূল্যায়ণ করা হবে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com