মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদীতে প্রভাবশালীরা শতাধিক বাধ দিয়ে মাছ চাষ করায় পানি প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে।
পানির প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে ময়লা আবর্জনা, পঁচা জীবজন্ত আটকে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। এ যেন দেখেও দেখছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাঁথিয়া উপজেলার মাধপুর থেকে বেড়া পাম্প ষ্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৪২ কিঃমিঃ এই প্রধান সেচ খাল ইছামতি নদীতে শাতাধিক জায়গায় বাঁশ, জাল দিয়ে বাধ দেয়ায় কচুরীপানায় ভরে থাকে সারা বছর।
দীর্ঘদিন ধরে কচুরিপানা অপসারণ না হওয়ায় এর উপর দিয়ে অনেক লতাপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো নদী। পঁচা কচুরীপানায় অভয়ারণ্যের সৃষ্টি হয়েছে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়াসহ বিভিন্ন রোগবাহিত মশার।
সন্ধ্যায় ইছামতি নদীর ডাইকের উপর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করলে বুঝা যায় মশার ভ্যান ভ্যানানি। কচুরিপানা পঁচা, বয়লারের মুরগীর বর্জ্য, মরা জীবজন্তুর পঁচা অংশ ও পার্শ্ববর্তী বাসার ময়লা আবর্জনায় নদীর পানি প্রচন্ড দুর্গন্ধ ও দুষিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়নের প্রধান সেচ খাল স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা জালের বাধ দিয়ে মাছ চাষ করায় পানি চলতি না থাকায় কচুরীপানা বেড়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
অতিসত্ত্বর বাধ ও কচুরিপানার অপসারণসহ মশা নিধনের জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, এ কচুরিপানা পঁচে নদীর পানি পঁচা দুর্গন্ধ বা দুষিত হলে তা থেকে ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েট ও চর্মরোগসহ শরীরের এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও আবদ্ধ পানি থাকলে সেখান থেকে এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি পেলে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগের প্রাাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আ: হামিদ জানান, নদীর কোন লিজ দেয়া হয়নি। জালের শতাধিক বেড়া উচ্ছেদের জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট চেয়ে জেলায় লিষ্ট পাঠানো হয়েছে।
বাজেট ও ম্যাজিষ্ট্রেট পেলে অভিযান চলবে যে কোন সময়। এতে কচুরীপানার বিষয়টিও রাখা হয়েছে।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com