সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক : ‘কাম ডাউন, কাম ডাউন। এরপর আমি গুলির শব্দ শুনি। তারপর আমি দেখলাম সিনহা স্যার মাটিতে পড়া। তখন আমি ভেবেছিলাম শরীরে লাগেনি, হয়তো ফাঁকা আওয়াজ করেছেন, উনি হয়তো মাটিতে শুয়ে পড়েছেন। তারপর দেখলাম উনার শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে।’ সেদিন মেরিন ড্রাইভের চেকপোস্টে কী ঘটেছিল তা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাত।
সিফাত জানান, তথ্যচিত্রের জন্য ছবি ধারণ করতে বিকেলে পাহাড়ে ওঠেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা। তার সঙ্গী ছিলেন সিফাত। আটক হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদেও বলেছিলেন, পাহাড়ে সিনহার সঙ্গে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না।
সিফাত বলেন, ‘না কোনো অস্ত্র ছিল না। আমাদের হাতে ট্রাইপড ছিল, ওটাকে উনারা ভুল বুঝতে পারেন। কিন্তু পাহাড় থেকে নামার সময় কোনো অস্ত্র ছিল না। আমি হাত তোলা দেখে পেছনে চলে এসেছি। আমাদের আগেই গাড়ি থেকে নামতে বলেছিল।’
সাহেদুল ইসলাম সিফাত জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে চিৎকার করা হয়। বলা হয় বের হ। গাড়ি থেকে বের হ। আমি যখন গাড়ি থেকে নেমে পেছনে হাঁটা শুরু করি। সিনহা স্যারও গাড়ি থেকে নামেন।
সিফাত আরও বলেন, ‘শামলাপুর চেকপোস্টে পরিচয় জানার পর গাড়ির সামনে ড্রাম ফেলে আটকে দেওয়া হয়। আমরা প্রথম যখন পৌঁছেছি আমাদের বলা হলো আপনাদের সম্পর্কে জানান। আমরা গাড়ির গ্লাস ওঠানোর সময় উনি (পরিদর্শক লিয়াকত আলী) আসলেন। এসে উনি বললেন, দাঁড়ান আবার বলেন। এরপর তিনি দৌড়ে গিয়ে ড্রামটা সামনে দিয়ে দিলেন। তাদের গায়ে পুলিশের ইউনিফর্ম ছিল না। তারা ৪-৫ জন ছিল।’
প্রত্যক্ষদর্শী সিফাত বলেন, সিনহা স্যার যখন গাড়ি থেকে নামেন আমি দেখেছি উনি পিস্তলটা গাড়িতে রেখে নেমেছেন। আমি দেখেছি তিনি দুই হাত তুলে গাড়ি থেকে নেমেছেন। আমি তো পেছনে ছিলাম। তাই আমি শুধু দেখেছি তিনি নিচু হয়েছিলেন।
সিফাত জানান, গুলি করার সময় আশপাশে তেমন লোকজন ছিল না। দূরে হয়তো ছিল। তবে প্রথম দিকে কোনো ভিড় হয়নি। প্রথমে পেছনে একটা বা দুইটা গাড়ি ছিল। পরে ভিড় হয়েছিল।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com