বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
সুজানগর প্রতিনিধিঃ পাবনার সুজানগরের তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের ২নং পোড়াডাঙ্গা কেন্দ্রে খাদ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করেছেন স্থানীয় খাদ্য সরবরাহ গুদামের অফিসার ইনচার্জ (ওসিএলএসডি) ওয়াহিদ মোস্তফা মিল্টন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে তিনি ওই অনিয়মের তদন্ত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত কেন্দ্রের ডিলার আলমগীর হোসেন গত ২/৩মাস ১০টাকা কেজি দরের চালভোগীদের মাঝে যথাযথ নিয়মে চাল বিতরণ না করে কতিপয় ইউপি মেম্বারদের সাথে যোগসাজশে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চাল বিতরণ করে আসছিলেন।
বিশেষ করে তিনি নজরুল ইসলাম মজনু এবং ইমরান হোসেন নামে দুইজন মেম্বারের সাথে যোগসাজশে ওই কেন্দ্রের আওতাধীন মধুপুর এবং বাড়ইপাড়া গ্রামের ১৫/২০জন কার্ডভোগীকে নিয়মিত চাল দেন না বলে অভিযোগ উঠে।
অভিযোগে আরো জানা যায়, অনেক চালভোগীদের মাস্টাররোলে নাম থাকলেও তাদের কাছে এ সংক্রান্ত কার্ড নেই। তবে কার্ড না থাকলেও মাস্টাররোলে নাম থাকার কারণে এদের মধ্যে অনেকে চাল পান, আবার কেউ কেউ পান না বলেও ওই অভিযোগে প্রকাশ।
ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওইদিন ওসিএলএসডি ওয়াহিদ মোস্তফা মিল্টন উক্ত কেন্দ্র তদন্ত করেন। তদন্তকালে তিনি অভিযুক্ত ডিলার, অভিযোগকারী এবং হাজেরা খাতুন নামে সংরক্ষিত আসনের একজন মহিলা মেম্বারের বক্তব্য শুনেন এবং সাক্ষর নেন।
তবে এ সময় অভিযুক্ত ডিলার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলে ইতিপূর্বে যিনি ডিলার ছিলেন আমি তার রেখে যাওয়া মাস্টাররোল তথা স্থানীয় মেম্বারদের মতামতের ভিত্তিতে চাল বিতরণ করছি।
আমি কোন অনিয়মের আশ্রয় নেয়নি। বরং সরকারি যথাযথ নিয়ম মেনে চাল বিতরণ করে আসছি।
এ ব্যাপারে ওসিএলএসডি ওয়াহিদ মোস্তফা মিল্টন বলেন তদন্তকালে অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ডিলারের বক্তব্য শুনেছি। তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
তবে তদন্ত শেষে এদিন সকল কার্ডভোগীদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ করা হয় এবং এর পর থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে চাল বিতরণের বিষয় নিশ্চিত করা হয়।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com