বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১, ০৬:১৭ অপরাহ্ন
শহর প্রতিনিধি : রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার এলাকার নাইস ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণ-তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে হোটেলের ৩০৩ নম্বর কক্ষ থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তাঁদের খুন করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে মিজানুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে এবং সুমাইয়া নাসরিন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে পড়তেন। হোটেলে পূরণ করা ফরমে লেখা আছে, নিহত মিজানুরের (২৩) বাবার নাম ওমেদ আলী এবং সুমাইয়া নাসরিনের (২০) বাবার নাম আবদুল করিম।
হোটেল রেজিস্টারে বর্তমান ঠিকানা হিসেবে তাঁরা পাবনার রাধানগর এলাকার নাম উল্লেখ করেছেন। স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করেছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দবিরগঞ্জের পাঠানপাড়া এলাকা। পেশা হিসেবে তাঁরা চাকরির কথা উল্লেখ করেছিলেন।
হোটেলের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, মিজানুর ও সুমাইয়া ২০ এপ্রিল রাত ১০টা ৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে হোটেলের রিসিপশনে আসেন।
হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০ এপ্রিল রাত ১০টার পরপরই মিজানুর ও নাসরিন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে ওঠেন। হোটেলের তিনতলার ৩০৩ নম্বর কক্ষ তাঁদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে তাঁরা হোটেলের ভাড়া পরিশোধ করে বলেছিলেন, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা হোটেল ছেড়ে দেবেন। তাঁদের কথা অনুযায়ী দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল কর্মচারীরা ডেকে এবং দরজায় ধাক্কা দিয়েও তাঁদের কোনো সাড়া পাননি। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে দুপুর ১টার দিকে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতদের মধ্যে মিজানুর রহমানের মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। তাঁর হাত ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল। সুমাইয়ার মরদেহ মুখে বালিশচাপা দেওয়া অবস্থায় পড়ে ছিল বিছানার ওপর।
বোয়ালিয়া মডেল থানার সহকারী কমিশনার গোলাম সাকলাইন জানান, আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে মনে হচ্ছে না।
সিআইডিসহ পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। মহানগর পুলিশ এবং র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মরদেহ দুটি হোটেলেই ছিল।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, এ পর্যন্ত নিহত দুজনের যে পরিচয় পাওয়া গেছে, তাতে জানা গেছে মিজানুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং সুমাইয়া নাসরিন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
নাসরিনের বাবা আবদুল করিম গাইবান্ধা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত রয়েছেন।
© All rights reserved 2020 ® newspabna.com